প্রবাসীদের জন্য স্কিল শিখা ও দক্ষতা উন্নয়নের কিছু টিপস

প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নের কিছু টিপস

আমরা যারা কুয়েত প্রবাসী আছি, অধিকাংশ পরিবার, পরিজনের মুখে হাঁসি ফুটানোর জন্য বা পরিবারের স্বপ্ন পূরণের জন্য। 
দিনরাত পরিশ্রম করে টাকা পাঠাচ্ছি ,তারা যেনো একটু ভালো ভাবে চলতে পারে বা হাসি খুশি থাকতে পারে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়?  আবার অনেকেই ভেবে থাকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা জমা হলে, দেশে গিয়ে ব্যবসা শুরু করবে।  কিন্তু বাস্তবতা এতোটা সহজ না, দেশে গিয়ে সফলভাবে ব্যবসা করা। 

বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে হলে অর্থ উপার্জন করাই যথেষ্ট নয়। বরং নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নতুন কিছু শিখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ? এতে করে আপনি প্রবাস জীবনেও ভালো সুযোগ পেতে পারেন।  কিংবা দেশে গিয়ে বেকার না থেকে স্থায়ীভাবে একটি সম্মানজনক জীবন গড়তে পারেন।   আজকে আমি এমন কিছু স্কিল সম্পর্কে শেয়ার করবো, যা শিখে আপনি দেশে ফিরেও ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। 


শিক্ষার কোন বয়স নেই, যে শিখে, সেই একধাপ এগিয়ে থাকে? 


আপনি যদি প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে একটু করে সময় বেড় করতে পারেন এবং নতুন কিছু শিখেন,  তাহলে আপনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে অনেক সহজ কাজ আছে যা ঘরে বসেই করা যায় বা শিখা যায়‌।  চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক সেই কাজ বা স্কিল গুলো সম্পর্কে।


  • ডিজিটাল মার্কেটিং (SMM, SEO, কন্টেন্ট মার্কেটিং)
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • কন্টেন্ট রাইটিং ও কপি রাইটিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিস
  • ডাটা এন্ট্রি বা অনলাইন সার্ভে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ক্যাপচা এন্ট্রি
  • ট্র্যান্সক্রিপশন (অডিও টু টেক্সট)
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (মোবাইল বা ওয়েব)
  • মাইক্রোসফট অফিস (ওয়ার্ড, এক্সেল বা পাওয়ার পয়েন্ট) এগুলোতে দক্ষতা অর্জন করা। 
আপনি চাইলে প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় বের করে ধীরে ধীরে নিজের স্কিল শিখা মজবুত করতে পারেন‌। কেননা আজকে আপনি শ্রম দিয়ে যা শিখবেন, আগামীতে এটাই হয়তো আপনার সফলতা অর্জন করতে সাহায্য করবে। 

নিজেকে কখনো ছোট মনে করবেন না, আপনার ছোট ছোট পদক্ষেপ‌ই বড় কোন পরিবর্তন আনতে পারে। নিজের জন্য বিনিয়োগ করুন, কেননা আপনি নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ। 

 







সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্ন: (১)  রাতে শিখার জন্য কতক্ষণ সময় দিলে ভালো হবে।

উত্তর:- আপনি রাতে কিংবা দিনে, আপনার কাজ শেষ করে - সময় বের করে প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় দিয়ে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।


প্রশ্ন: (২)  কোন কোর্স গুলো একদম ফ্রিতে শিখা যাবে।

উত্তর:-  ইউটিউব, Coursera, Google skillshop, Meta Blueprint, HubSpot ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অসংখ্য ভালো মানের কোর্স ফ্রিতে পাবেন।


প্রশ্ন: (৩)  কাজ শিখে কিভাবে আয় করবো।

উত্তর:-  আপনি? Fiverr, Upwork, freelancer, PeoplePerHour, Toptal,  এই সকল অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে, অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ করার জন্য প্রোফাইল তৈরি করে, কাজ করতে পারেন।


প্রশ্ন: (৪)  আমি তো আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, শিখতে পারবো কি।

উত্তর:-  হ্যাঁ,  আপনি যদি বেসিক থেকে শিখা শুরু করেন, তাহলে যেকোনো বিষয় শেখা সম্ভব কেননা অনেকেই শূন্য থেকে শুরু করে সফল হচ্ছে।


প্রশ্ন:  (৫)  একসাথে একাধিক কোর্স করা যাবে কি।

উত্তর:-  একসাথে কোন কোর্স করার সম্ভব না, অযথা সময় নষ্ট হবে, তারচেয়ে বরং একটা কোর্স ধাপে ধাপে শেষ করে - অন্য কোর্স করতে পারেন? তাহলে ফোকাস ধরে রাখতে পারবেন। 




আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ? 

আপনি যদি ভালো একটি স্কিল শিখতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার চাকরির পিছনে ছোটাছুটি করতে হবে না। তাই আমি পরিশেষে বলতে চাই উপরের যে কোন একটি স্কিল শিখা শুরু করেন, তাহলে দেশে ফিরেও আপনি সফল হতে পারবেন। 
আমি বর্তমানে ব্লগিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছি। কোম্পানির কাজের পাশাপাশি।
আপনিও পারবেন চেষ্টা করলে। (ইনশাআল্লাহ)



>>written by Potiva Tech
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url