কুয়েতে যাওয়ার জন্য সেরা ভিসা কোনটি?
বাংলাদেশ থেকে? যারা কুয়েত আসার স্বপ্ন দেখছেন ইতিমধ্যে তাদের অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন জাগে। কোন ভিসায় কুয়েতে গেলে ভালো হবে, আর ভিসা ভালো না হলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আজকে আমি শেয়ার করবো, কুয়েত কোন ভিসায় আসা সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। সহজভাবে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো, এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন। কোন ভিসায় কুয়েতে আসলে সবচেয়ে বেশি ভালো ও নিরাপদ।
কুয়েত যে সব ভিসা বা পারমিট প্রদান করে থাকে?
১/ প্রাইভেট সেক্টর ভিসা (যাকে ১৮ নাম্বার আর্টিকেল বলা হয়), এই ভিসা সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন। এই ভিসায় আসলে আপনি কুয়েতে বৈধভাবে যেকোন জায়গায় কাজ করার জন্য ভালো । এই ভিসা আপনি, সাধারণত কোম্পানি বা স্পন্সরের মাধ্যমে পেতে পারেন।
২/ গৃহকর্মী ভিসা (যাকে ২০ নাম্বার আর্টিকেল বলা হয়), এই ভিসায় আসলে বাসা বাড়ির কাজ করতে হবে। এটা সবচেয়ে বেশি ইস্যু হয়ে থাকে, (কাজের মেয়েদের জন্য ও বাসায় ড্রাইভিংয়ের জন্য। এই ভিসায় স্বাধীনতা কম আপনার স্পন্সরের অধীনে থাকতে ও কাজ করতে হবে।
৩/ প্রোজেক্ট ভিসা (যেটা অস্থায়ী ভিসা), এই ভিসা টি মূলত একটি নির্দিষ্ট প্রোজেক্ট এর জন্য নির্ধারিত করে ইস্যু করা হয়। যা মেয়াদ শেষ হলে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন ভিসা তাহলে ভালো হবে। এই বিষয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করছি নিচে?
যে ভিসায় কুয়েত আসলে ভালো হবে?
আপনি যদি ইতিমধ্যে কুয়েত আসার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে ১৮ নাম্বার ভিসায় আসতে পারেন। কারণ এই ভিসা সবচেয়ে বেশি ভালো ও নিরাপদ হবে।
কারণ:-
- এটি দিয়ে আপনি সরকারি অনুমতি কোম্পানি গুলোতে কাজ করতে পারবেন।
- ভবিষ্যতে আপনি নির্দিষ্ট একটা সার্ভিস দিয়ে, কোম্পানি থেকে পেপার নিয়ে অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার হতে পারবেন।
- রেসিডেন্স কার্ড (aqama) সহজেই রিনিউ করতে পারবেন।
- আপনার বেতন ভালো হলে, আপনি চাইলে পরিবারের সদস্যদের আনতে ও স্পন্সর হতে পারবেন।
এই ভিসায় যখন আসবেন? বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবেন অথবা পরিচিত কেউ থাকলে আপনি তার থেকেও জেনে নিতে পারেন।
কোন ভিসা থেকে সাবধান থাকা উচিত আমাদের?
- গৃহকর্মী ভিসা (যেটাকে ২০ নাম্বার আর্টিকেল বলা হয়), এই ভিসায় স্বাধীনতা কম ~ সেইসাথে অনেক নিয়ন্ত্রণ থাকে।
- ভিসা ট্রেডিং বা কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ বেআইনি, প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি।
- তাছাড়া অপরিচিত বা বিনা অনুমোদিত এজেন্সি থেকে, ভিসা নেওয়া বিদেশের মাটিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
কুয়েতে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো দেখে নিবেন?
- আপনি যার মাধ্যমে ভিসা নিচ্ছেন, সে আপনাকে (১৮ নাম্বার আর্টিকেল) ভিসা দিচ্ছে কিনা চেক করুন।
- কুয়েতের কোম্পানির নাম ও নিবন্ধন চেক করুন।
- চুক্তিপত্র ভালো ভাবে বুঝে তারপর স্বাক্ষর করেন।
- কোন কাজে যাচ্ছেন (পেশা) কি সেটা সঠিকভাবে, উল্লেখ আছে নাকি সেটা দেখুন।
- যে এজেন্সি দিয়ে কাজ করছেন, সেটা (BMET) বা বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্টার্ড কিনা যাচাই করুন।
সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
আমার ব্যক্তিগত মতামত?
আমি বলবো ভিসা নেওয়ার আগে, ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে ভিসা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করুন। তাহলে আপনার কুয়েত আসার পর, সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না? বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন, যদি কোন আত্মীয় স্বজন কুয়েতে থাকে তাদের কাছে থেকে।