কুয়েতে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করল
কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, ইতিমধ্যে ঘোষণা করছে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী আনতে হলে নির্ধারিত বেতন ও কন্টাক্ট পেপার সহ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে।
বাংলাদেশে থেকে কর্মী আনতে হলে নূন্যতম বেতন
দূতাবাস থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী আনতে হলে। বাংলাদেশ দূতাবাসের নির্ধারিত করা বেতনের আওতায় কর্মী আনতে হবে, সেই সাথে দূতাবাস থেকে সকল কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে। এতে করে শ্রমিকরা নির্দিষ্ট বেতন পাবে।
অনেক দিন ধরেই অভিযোগ আসছে, কুয়েতে কাজ করা শ্রমিকরা কাজ করে ন্যায্য বেতন পায় না। যা চুক্তির সাথে কোন কিছু মিল নাই, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে যারা নতুন করে কুয়েতে আসবে, তারা উপকৃত হবে।
কোন পেশায় কত বেতন নির্ধারণ করা হইছে
ভিসা ১৮ (আকদ হুকুমা) সরকারি চুক্তি অদক্ষ কর্মী নূন্যতম বেতন
কৃষি কর্মী | (৯০ দিনার)
পরিচ্ছন্নতা কর্মী | (৯০ দিনার)
সাধারণ কর্মী (লেবার) | (৯০ দিনার)
ড্রাইভার দক্ষ কর্মী | (১২০ দিনার)
> ডিউটি ৮ ঘন্টা > ৯০ দিনার ৩৫ হাজার এবং ১২০ দিনারে > ৪৫ হাজার টাকা আসতে পারে। উভয়ে বেতন টাকার রেট অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে।
ভিসা ১৮ (আকদ আহলি) বেসরকারি চুক্তি অদক্ষ কর্মী নূন্যতম বেতন
কৃষি কর্মী | (১২০ দিনার)
পরিচ্ছন্নতা কর্মী | (১২০ দিনার)
সাধারণ কর্মী (general worker) | (১২০ দিনার)
প্রহরী বা (সিকিউরিটি গার্ড) | (১২০ দিনার)
স্পন্সর | (১২০ দিনার)
> ডিউটি (৮ ঘন্টা) > ১২০ দিনারে যা বাংলা টাকায় ৪৫ হাজার টাকা।
ভিসা ১৮ (আকদ আহলি) ব্যক্তিগত চুক্তি দক্ষ কর্মী নূন্যতম বেতন
এসি মেকানিক | (১৫০ দিনার)
অটোমোবাইল মেকানিক | (১৫০ দিনার)
সহকারী ( Assistant) | (১৫০ দিনার)
বারবার (নাপিত) | (১৫০ দিনার)
বাবুর্চি (chef) | (২৫০ দিনার)
চালক (ড্রাইভার) | (১৫০ দিনার)
প্লাম্বার, (ইন্সটলার) , প্রোসার, রিপোর্টার,
ইলেকট্রিশিয়ান আরও ইত্যাদি কর্মীদের | ( ১৫০ দিনার)
> ডিউটি > ৮ ঘন্টা > ১৫০ দিনার বেতনে বাংলা টাকায় ৫০ হাজার এবং ২৫০ দিনার বেতনে ৯০ হাজার টাকা হতে পারে।
কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের, এই সিদ্ধান্ত জন্য বাংলাদেশের কর্মীরা ন্যায্য বেতন পাবে আশা করা যাচ্ছে।
শ্রমিকদের করনীয়
বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি আপনার চুক্তিপত্র দেখে নিন, বেতন চুক্তি কাজের ধরন সবকিছু যাচাই করে নিন। অথবা বাংলাদেশ দূতাবাস (BMET) Bangladesh Manpower Training এর সাহায্য নিতে পারেন। অবৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে দূরে থাকুন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে যে উপকার হবে
কুয়েতে যারা আসবে নূন্যতম বেতন পাবে, সেই সাথে কোন শ্রমিক যেনো বিদেশের মাটিতে হয়রানি না হয়। আর্থিক নিরাপত্তা ও নিশ্চিত হবে। এতে করে আমরা বাংলাদেশীরা ভালো ভাবে দেশে টাকা পাঠাতে পারবো, এবং বিদেশের মাটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়া সম্ভাবনা কমবে।
সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
১/ আমি কিভাবে বুঝবো আমার বেতন স্কেলের মধ্যে
উত্তর:- ভিসা, চুক্তিপত্র সবকিছু ভালোভাবে যাচাই করুন, অভিজ্ঞদের দিয়ে যারা কুয়েত থাকে অথবা দূতাবাস (BMET) যোগাযোগ করুন।
২/ এই নিয়ম কি সব চাকরির জন্য প্রযোজ্য
উত্তর:- হ্যাঁ, গৃহকর্মী থেকে শুরু করে নির্মাণ শ্রমিকসহ সবার জন্য এটা প্রযোজ্য।
৩/ যাওয়ার পর আমি যদি বেতন কম পাই
উত্তর:- কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ করুন।
অথবা কুয়েতের শ্রম-আইনের সহায়তা নিন।
৪/ গৃহকর্মীদের বেতন কত
বিশেষ করে যারা - (গৃহকর্মী - ৯০ বা ১২০ দিনার) তা ছাড়া নির্মাণ শ্রমিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সিকিউরিটি গার্ড, হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ওয়েটার, ইলেকট্রিশিয়ান ইত্যাদি কাজে আসবে। তাদের জন্য এই বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হইছে।
দয়া করে উপরে লেখাগুলো ভালো ভাবে পড়ুন বুঝতে পারবেন।
আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ
আমি যেহেতু কুয়েতে আছি, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বিদেশের মাটিতে দক্ষ কর্মীদের মূল্য আছে।
আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশেই যাবেন, দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ন বেশি। আমি বলবো বিদেশ আসার আগে অন্তত ভালো একটি হাতের কাজ শিখুন। আপনি যদি দক্ষ কর্মী হিসেবে বর্হিবিশ্বে আসতে পারেন তাহলে আপনার ডিমান্ড থাকবে সব জায়গায়। অযথা দেশে বেকার বসে সময় নষ্ট না করে দক্ষতা অর্জন করা চেষ্টা করুন। বিদেশ আসলে ভালো আয় করতে পারবেন। (ইনশাআল্লাহ)
> আপনার যদি কিছু জানার থাকে, তাহলে আমাদের কমেন্ট করতে পারেন অথবা কন্টাক্ট করতে পারেন।
| written by Potiva Tech | > তথ্য সূত্র: বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত
ধন্যবাদ তথ্য দেওয়ার জন্য
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।