PACI এর অভিযানে জাল ঠিকানার কালোবাজারি ধরা পড়েছে
কুয়েতে সিভিল ইনফরমেশন কর্তৃপক্ষ (PACI) জাল ঠিকানা নিবন্ধনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে, এর ফলে একটি নতুন কালোবাজারের উত্থান ঘটেছে যেখানে ভুয়া ঠিকানা বিক্রি ও ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, PACI বেশ কয়েকটি জাল অথবা পুরাতন ঠিকানা মুছে ফেলেছে। যেখানে, ৩২৫ জন প্রবাসীর ঠিকানা মুছে ফেলা হয়েছে ভবন ভেঙে ফেলা বা মালিকের অনুরোধের কারণে? এই ব্যক্তিদের ৩০ দিনের মধ্যে তাদের ঠিকানা তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে, অন্যথায় জরিমানা অথবা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এই অভিযানে কুয়েতে একটি নতুন কালোবাজার গড়ে উঠেছে, যেখানে কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ঠিকানা সরবরাহ করে আসছিলো। প্রবাসীরা অনেক সময় তাদের বৈধ অবস্থান প্রমাণ করার জন্য এই ভুয়া ঠিকানার প্রতি নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে, যা বেআইনি।
ভুয়া ঠিকানার প্রভাব ও ঝুঁকি
- ভুয়া ঠিকানা ব্যবহারের কারণে আইনি ঝুঁকি বেড়েছে।
- PACI এর নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানা এবং ফৌজদারি মামলা ও হতে পারে।
- সঠিক তথ্য না থাকলে সরকারি সুবিধা পাওয়া কঠিন হতে পারে।
প্রবাসীদের প্রতি পরামর্শ
প্রবাসী বাসিন্দাদের জন্য জরুরি হলো তাদের সঠিক আবাসিক তথ্য PACI তে হালনাগাদ করে রাখা। জাল ঠিকানা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং কোনো সন্দেহজনক প্রস্তাব এলে সর্বদা সতর্ক থাকুন।
যে সকল প্রবাসীরা দেশে আছে, তারা কি করবে বিস্তারিত?
কুয়েতের বাইরে আছে যারা তাদের পরিস্থিতি কি হবে?
যারা বর্তমানে কুয়েতের বাইরে আছেন এবং তাদের PACI তে রেকর্ড করা ঠিকানা যদি ভুয়া বা পুরাতন হয়, তাদের জন্য পরিস্থিতি বেশ জটিল হতে পারে। কারণ PACI এখন ভুয়া ঠিকানা চিহ্নিত করে সরিয়ে দিচ্ছে, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য হালনাগাদ করতে বলছে।
সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ:
- কুয়েতের বাইরে অবস্থান করার কারণে ঠিকানা আপডেট করা সম্ভব হচ্ছে না।
- ঠিকানা বাতিল হলে সিভিল আইডি (civil ID) বাতিল হতে পারে।
- ভবিষ্যতে কুয়েতে ফিরে এলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে, যেমন নতুন ভিসা বা সিভিল আইডি ইস্যুতে বাধা।
- সরকারি কাজ (ব্যাংক, মিউনিসিপ্যাল সেবা, রেসিডেন্সি রিনিউ) করতে সমস্যা হবে।
কুয়েতের বাইরে থাকা প্রবাসীদের করণীয়:
- পরিবারের কোনো সদস্য বা বিশ্বস্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে PACI অফিসে যোগাযোগ করানো।
- অনলাইনের মাধ্যমে ঠিকানা আপডেট করার চেষ্টা করা (যদি সুযোগ থাকে)।
- কুয়েতে ফেরার পর দ্রুত সঠিক ঠিকানা দিয়ে তথ্য হালনাগাদ করা।
- ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার না করে বৈধ এবং আসল ঠিকানা নিশ্চিত করা।
মনে রাখবেন, জাল ঠিকানা ব্যবহারের কারণে আইনগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। জরিমানা, সিভিল আইডি বাতিল অথবা ভবিষ্যতে কুয়েতে প্রবেশে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।